যে প্রক্রিয়ায় অবায়ুজীবী জীবকোশে
অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে শ্বসন বস্তু বিশেষ
উৎসেচকের প্রভাবে আংশিকভাবে জারিত হয়ে
শক্তির আংশিক মুক্তি ঘটায় এবং উপজাত বস্তুরূপে
ইথাইল অ্যালকোহল বা ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপন্ন
করে, ফলে দ্রবণটি গেজে ওঠে, সেই প্রক্রিয়াকে সন্ধান বলে।
সন্ধান প্রক্রিয়ার আবিস্কার করেন লুই পাস্তুর।
সন্ধান প্রক্রিয়া দুইপ্রকার -
(i) কোহল সন্ধান
এই প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ ইস্ট নিঃসৃত জাইমেজ
উৎসেচকের প্রভাবে অক্সিজেন ছাড়াই আংশিক
জারিত হয়ে ইথাইল অ্যালকোহল, কার্বন ডাইঅক্সাইড
এবং অল্প পরিমাণ শক্তি নির্গত করে।
স্থান:
খেজুর, তাল ইত্যাদি রসে ইস্ট (ছত্রাক) দিলে কোহল
সন্ধান ঘটে।
(ii) ল্যাকটিক অ্যাসিড সন্ধান।
এই প্রক্রিয়ায় শ্বসন বস্তু অক্সিজেন ছাড়াই
জারিত হয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে এবং আংশিক শক্তি উৎপন্ন করে।
স্থান:- প্রানীর পেশিকোষে।
অত্যাধিক পরিশ্রম বা ছোটাছুটি করলে আমাদের পেশিকোষে ব্যথা অনুভূত হয়।পেশিকোষে গ্লাইকোজেন সন্ধান প্রক্রিয়ায় ল্যাকটিক এসিড উৎপন্ন করে যা ব্যথা অনুভূত হওয়ার জন্য দায়ী।
0 Comments